বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১

প্রেসিডেন্ট জিয়া সম্পর্কে সাগর দ্বীপ সন্দ্বীপের মানুষের জানা অজানা কথা

প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৪ | ১২:১২ অপরাহ্ণ আপডেট: ১১ জুন ২০২৪ | ১:২৫ অপরাহ্ণ
প্রেসিডেন্ট জিয়া  সম্পর্কে সাগর দ্বীপ সন্দ্বীপের মানুষের জানা অজানা কথা

ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন 

বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন সোনার দ্বীপ সন্দ্বীপে শহীদ রাষ্ট্র নায়ক জিয়াউর রহমান তিন বার সফর করেছিলেন। তিনি দ্বীপের মানুষকে অনেক ভালোবাসতেন। এ-ই দ্বীপের উন্নয়ন এবং নদী ভাঙ্গা মানুষ নিয়ে ছিল তাঁর অনেক স্বপ্ন। মৃত্যুর আগে তিনি শেষ বারের মতো সন্দ্বীপ সফর করেছিলেন কৃষক সমাবেশ করতে। সেখানে তিনি বাংলাদেশের বৃহত্তর ইউনিয়ন কমরেড মোজাফফর আহমদের জম্মের স্থান মুছাপুর বদিউজ্জামাল উচ্চ বিদ্যালয়ে এক বিশাল কৃষক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।

প্রয়াত রাষ্ট্রপ্রতির  সেই সফর সঙ্গীদের জন্য খাবারের আয়োজন করা হয়। শহীদ প্রেসিডেন্টের সামনে বিশাল আকৃতির এক কাতাল মাছের মাথা পরিবেশন করা হয়। প্রেসিডেন্ট সন্দ্বীপের কৃতি সন্তান মরহুম এডভোকেট সামছুল হুদার নিকট জানতে চান এ-ই মাছ কোথায় পেয়েছে। এডভোকেট সামছুল হুদা তাঁর ইউনিয়ন মাইট ভাংগা ইউনিয়নের জনৈক মজিবুল হক সাহেবের পুকুর থেকে ধরেছেন বলে জানান।তখন  প্রেসিডেন্ট মজিবুল হককে দেখার আগ্রহ প্রকাশ করলে মজিবুল হক রাষ্ট্রপ্রতির সহিত সাক্ষাৎ করেন এবং রাষ্ট্রপ্রতির সাথে হাত মিলান। পরবর্তী জীবনে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত
মজিবুল হক তাঁর ডান হাতে আর কোন ব্যাক্তির সাথে হাত মিলান নাই। তিনি সব সময় বলতেন এ-ই ডান হাতে আমি জিয়াউর রহমানের সাথে হাত মিলিয়েছি। কাজেই ডান হাতে বাকী জীবন আর কারও সাথে হাত মিলাবো না।

শহীদ জিয়াউর রহমানের  প্রতি দ্বীপের সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত ভালোবাসা স্বরণীয় হয়ে থাকবে। একজন মেধাবী দক্ষ কর্মক্ষম হাজারো গুণে গুণান্বিত মানুষ পৃথিবীতে খুব একটা পাওয়া যায় না। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জানাজা প্রমাণ করে কতো বেশি জনপ্রিয় ছিল খুব অল্প সময় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান । আল্লাহ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে বেহেশত বাসী কর। আমীন।

 

লেখক :

যুগ্ম আহ্বায়ক,চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি

সম্পর্কিত পোস্ট

সর্বশেষ পোস্ট



Shares